মাতৃগাঁও মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে অদ্যাবধি বিশাল আকার ধারণ করেছে; যা শুধু আকার-আয়তনে নয়, বিদ্যাপিঠ হিসেবে গর্ব করার মতো একটি প্রতিষ্ঠান।
এখানে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি শিফট্ ভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রমও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। তাঁদের সকলের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তাদেরই পরামর্শে ও সুপারিশক্রমে সকলের ঐকান্তিক ইচ্ছায় এ বিদ্যাপীঠের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব আমি গ্রহণ করেছি। এজন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।
এ প্রতিষ্ঠানের গুণী শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবীয় গুণাবলি অর্জনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক এবং পরিবেশ সব মিলিয়ে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক এটাই আমার একান্ত কাম্য। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শুধু লেখাপড়ায় নয়, সকল প্রকার সহশিক্ষা কার্যক্রমে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।
সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি রুচিশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তোলার প্রচেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থধারার সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশ একটা জাতির জন্য খুবই প্রয়োজন। আমরা একটি পরিবারের মত মিলে তা গড়ে তুলবো, এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
এ প্রতিষ্ঠানের একটি বিশাল গ্রন্থাগার আছে এবং গ্রন্থাগারের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের কাজ হলো শিক্ষার্থীরা যাতে গ্রন্থাগারমুখী হয়, সে ব্যবস্থা করা। গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের চলমান ঈর্ষণীয় সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে আমি বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানে যে উন্নয়ন সূচিত হয়েছে, সে ধারা আমি অব্যাহত রাখবো এবং তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এজন্য ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের সহযোগিতা চাই, চাই একটি সুন্দর পরিবেশ। আমি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ।
মোহাম্মদ সোহাগ হোসাইন
সভাপতি
মাতৃগাঁও মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়